স্পোর্টস ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে বিসিবি। এশিয়া কাপে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখতে চায় তারা! এ জন্য অনেক কিছুই ঢেলে সাজাচ্ছে। অধিনায়কত্বে ইতোমধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে সাকিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের ঝাণ্ডা। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও বাড়তি একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট করা হয়েছে। অবশ্য নতুন এই পদ তৈরি করা হলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হেড কোচ হিসেবেই ভাবা হচ্ছে তাকে। তবে সাকিব মনে করেন, হুট করে উন্নতি সম্ভব না। তিনি বলেন, ‘আশা করি ছোট একটা বাচ্চার মতো আমরা স্টেপ বাই স্টেপ চলা শুরু করতে পারব এবং আস্তে আস্তে দৌড়ানোর জায়গাতে পৌঁছতে পারব।’
টি-টোয়েন্টিতে মলিন বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটকে ঠিকভাবে বুঝেই উঠতে পারেনি এখনো। আর তাই বিসিবি নতুন করে ভাবছে। এশিয়া কাপে দলের হার-জিত নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও দলের ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করছেন বিসিবি সভাপতি। আগ্রাসী বাংলাদেশকে দেখতে চান নাজমুল হাসান। সাকিব বলেন, ‘আমি যদি মনে করি যে একদিন, দুদিনে সবকিছু বদলে দিতে পারব কিংবা অন্য কেউ এসে বদলে দেবে তা হলে আমরা আসলে বোকার রাজ্যে বাস করছি।’
আগামী ২৭ আগস্ট মরুর দেশে শুরু হবে এশিয়া কাপ। সামনে বিশ্বকাপ তাই এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অয়োজন করা হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ সেপ্টেম্বর। এশিয়া কাপে কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি টাইগাররা। সর্বশেষ গত আসরে ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়ে তুষ্ট থাকতে হয়েছে লাল-সবুজদের। এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় টাইগারদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ থাকছে। সাকিব বলেন, ‘দেখুন এমন একটা সংস্করণ যেখানে আমরা বোধহয় প্রথম খেলি ২০০৬ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খুব বেশি একটা ভালো ফল নেই শুধু এশিয়া কাপের ফাইনাল বাদে। সে জায়গা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি এই সংস্করণে। তাই আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই।’ এশিয়া কাপে ভালো কিছুর চেষ্টা থাকবে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা এশিয়া কাপের জন্য ২৩ তারিখে যাচ্ছি, ওখানে আমাদের ৬-৭ দিনের অনুশীলনের সময় থাকবে। আশা করি আমাদের যে দলটা আছে, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে দলগতভাবে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’ এশিয়া কাপের পরই অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সাকিব বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপে গিয়ে যেন আমরা ভালো করতে পারি। তার প্রস্তুতি হিসেবে এগুলো। যদি বাস্তবিক চিন্তা করেন, তা হলে তিন মাস পর যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলব, একটা যদি উন্নতি দেখতে পারেন দল থেকে, ওটাই আমাদের আসল উন্নতি।’